এবার চোট থেকে সেরে উঠতে না পারায় আগে থেকেই এশিয়া কাপের দলে ছিলেন না তামিম ইকবাল। জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে না পারায় এশিয়া কাপ খেলতে যেতে পারেননি লিটন দাসও। নিয়মিত দুই ওপেনার না থাকায় টপ অর্ডার খানিকটা ভঙ্গুর ছিল। অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার না থাকায় ব্যাটিংয়ে বড় দায়িত্ব ছিল সাকিব আল হাসানের কাঁধে। যদিও সেই দায়িত্ব পালন করতে পারেননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। মাথিশা পাথিরানার স্টাম্পের বাইরের খানিকটা লাফিয়ে উঠা বলে কাট করতে গিয়ে মাত্র ৫ রানে আউট হয়েছেন সাকিব।
ব্যাটিংয়ে যে বাড়তি দায়িত্ব নিতে পারেননি সেটা অকপটে স্বীকার করেছেন সাকিব নিজেই। গতকাল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তামিম ও লিটন না থাকায় তার উপর বেশি দায়িত্ব ছিল কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার আরও বেশি দায়িত্ব ছিল। আমি সেটা করতে পারিনি।’
এদিকে সাকিবের মতো এ দিন পুরো ব্যাটিং অর্ডারই ভালো করতে পারেনি। একমাত্র নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া বাকিদের কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি। অভিষিক্ত তানজিদ হাসান তামিম আউট হয়েছেন শূন্য রানে। আরেক ওপেনার নাইম শেখ ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। সুবিধা করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম।
এদিন শেষ দিকে মেহেদি হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদিরা প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারেননি। ফলে মাত্র ১৬৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং ইউনিটের পারফরম্যান্স নিয়ে সাকিব বলেন, ‘ব্যাটারদের কথা বললে আমরা ভালো করতে পারিনি। সামনে আমাদের বড় খেলা আসছে।’ এদিকে ব্যাটাররা সুবিধা করতে না পারায় ১৬৪ রানেই অল আউট হতে হয় বাংলাদেশকে। স্বল্প পুঁজি নিয়ে শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি সাকিবের দল।
বাংলাদেশের অধিনায়ক মনে করেন, লড়াই করার জন্য যথেষ্ট পুঁজি ছিল না। ২২০-২৩০ রান করতে পারলে ভালো সুযোগ থাকতো বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘এটা ৩০০ রানের উইকেট নয়, তবে আমাদের ২২০-২৩০ রান প্রয়োজন ছিল। তাহলে আমাদের সুযোগ থাকতো। বোলাররা অনেক দিন ধরেই তাদের কাজটি করছে। তবে যথেষ্ট রান ছিল না। আমরা এ ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগোব।’